বাংলা গানের গীতিকবিতা
Advertisement

কেউ বা গড়ে সোনার বাংলা, কেউ স্বনির্ভর বাংলাদেশ
কেউ বা গড়ে নতুন বাংলা, গড়াগড়ির নিকোশেষ।
কেউ বা দেয় ভোটের অধিকার, কেউ বা খাওয়ায় ডাল-ভাত
সবাই আবার একসুরে কয়, সৈরাচারী নিপাতা যাক।
যখন গদি নিয়া কারাকারি, কে বা তাকায় আমার বাড়ি গো...
আমি আমার বেচলাম নীতি দুইমুঠ ভাতেরও আশায়,
বলো বলো রে হায় হায়।
বলো বলো রে হায় হায়।
গোপন কথা কইলে লজ্জায় মাথা কাটা যায়।
বলো বলো রে হায় হায়।।

বাহিরে মন সিরাজুদ্দৌলা, নির্মদলার মহল্লায়
অন্তরেতে বাস করে মীর জাফর, বলব রায়।।

ইস্কুলেতে গিয়া মোরা, জ্ঞানোনেশে কলম ধরি
দেশে-দশের করব সেবা, এই মর্মে শপত করি।
দেশের মাটি সবচেয়ে খাটি, তার সদা রাখবো মান
হয় যদি বা দিতে হয় ক্ষুদিরামের মত প্রাণ।
কিন্তু মোদের ডাইকা নিয়া, লক্ষ টাকার লোভ দেখাইয়া
অস্ত্র হাতে তুইলা দিলো গদি সুরক্ষায়।।

নেতা বল নেত্রী বল, সবার মুখে একই ধ্বনী
ক্ষমতায় গেলে তারা দেশ বানাইবো সোনার খনী।
কিন্তু যখন পায় ক্ষমতা, ভুলে যায় সব অতীত কথা
ব্যক্তিগত রেসারেসীর সোধ নেবার চায়।
এই সুযোগে মন্ত্রী আমরা আখেরো গুছায়
উন্নয়ন যে বন্দী রইলো ফাইলেরও পাতায়।।

পরের কথা বলব কি আর নিজের দিকে চাইয়া দেখি
স্বাধীনতা পাইয়া, নিজের কি হাল করেছি।
বাঙ্গালী না বাংলাদেশী এ যে নিয়ে রেশারেশী
আসলে তো কাজে কর্মে হয়ে গেছি হাফ-বিদেশী।
ইংল্যান্ড আর এমেরিকা আমার মাথায় স্বপ্ন গাথা গো
আমারে যে পাইয়া বইসে বিদেশী নেশায়।।

বঙ্গ দেশের রঙ্গ লইয়া রচিল হায় কত গান
সেই গানের মর্ম কথায় জুরায় আমার মন-প্রাণ।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভুমি।
সেই রাণীর ঘরে জন্ম নিয়া, কপালের আজ তিলক দিয়া
এমত তর বাটপারি কি আমার সোভা পায়?
বলো বলো রে হায় হায়।
বলো বলো রে হায় হায়।।
বিষয়শ্রেণী:জীবনমুখী গান বিষয়শ্রেণী:হায়দার হুসেইন

Advertisement